বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বিটেক) টি টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতীতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর নাম করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান - এঁর স্মরণে। প্রতিষ্টানটির সামগ্রিক স্থাপত্য শৈলী ও ভাস্কর্যসমূহ মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম সংঠনে বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও আত্মনিয়োগ কে চিত্রিত করছে। এর পাশাপাশি, আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী বয়ন, কারুশিল্প এবং সংস্কৃতি এখানে প্রতিফলিত হয়। অপরদিকে কলেজটির দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক নিদর্শণ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সংমিশ্রণ মনকে প্রফুল্ল করে।
বিটেক, গত ২০০৭-২০০৮ সেশন –এ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করার মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিনের বিচক্ষণ নির্দেশনায় একাডেমিক চালিয়ে যায়। অতঃপর ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজটি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি লাভ করে।
কলেজের বিভাগসমূহ, শ্রেণীকক্ষ এবং গবেষণাগারগুলির আধুনিক নির্মাণশৈলী, মান সম্পন্ন শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় উচ্চ ডিগ্রী অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কলেজের সামগ্রিক পরিবেশ-পরিমন্ডল, সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য আদর্শভাবে উপযোগী। বিভাগসমূহ অভিজ্ঞ, জ্ঞানী এবং দক্ষ শিক্ষকবৃন্দ দ্বারা পরিচালিত হয়। গবেষণাগারগুলি আধুনিক ও উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন যন্ত্রে সুসজ্জিত, যা অধিভুক্তি সংরক্ষণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত পাঠ্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে সক্ষম।
বিটেক, ১১ একর জমির উপর প্রতিষ্টিত, যার মধ্যে একাডেমিক, দাপ্তরিক ও আবাসিক ভবন মিলিয়ে মোট প্রায় ২০০০০০ বর্গফুট স্থাপনা রয়েছে। ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য ক্যম্পাসের অভ্যন্তরে রয়েছে পৃথক আবাসিক সুবিধা। কলেজে, অধ্যক্ষের বাসভবন, শিক্ষকদের বাসভবন, অতিথিশালা ও কর্মচারীদের বাসভবন বিদ্যমান। শিক্ষার্থীদের চিত্তবিনোদন ও মানসিক বিকাশের জন্য এখানে আছে বিস্তীর্ণ খেলার মাঠ, বহুমুখী মিলনায়তন ও ঝুলন্তসেতু সহ নানাবিধ আধুনিক ব্যবস্থা।
বিটেকে চমৎকার প্রতিভাবান এবং নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকের পাশাপাশি কর্মঠ কর্মচারী রয়েছে, যা প্রতিষ্টানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। বিটেক, তার কার্যক্রমের মাধ্যমে বস্ত্রশিল্প খাতের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে যা কর্মসংস্থান সৃজন এবং উচ্চ-আয়ের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে সফলতার সাথে কর্মরত আছে।